এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে রমনা থানার ২ ও পল্টন মডেল থানার ২ মোট ৪ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান, মহিউদ্দিন চৌধুরি ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এবং রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার নূরুল মোত্তাকিন ও হাসান রাশেদ পরাগ জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রমনা ও পল্টন থানার আরও দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে মোট ৮ মামলায় জামিন পেলেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। আরও ২ মামলায় জামিন না হওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। পল্টন ও রমনা থানার বাকি ২ মামলায় অধিকতর জামিন শুনানি আগামী বুধবার (২৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

[৩] বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রমনা থানার ২ ও পল্টন মডেল থানার ২ মামলায় শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আরও চার মামলায় শুনানির জন্য রোববার (২১ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন আদালত। তার বিরুদ্ধে করা ১০ মামলার মধ্যে ৬ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বাকি ৪ মামলায় জামিন পেলে আমীর খসরুর কারামুক্তিতে বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

[৪] বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ২ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন।

[৫] এর আগে ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার মির্জা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ আসামির উপস্থিতিতে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান

[৬] গত ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে এ সংঘর্ষ পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত এবং পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য ছাড়াও কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

[৭] গত ০২ নভেম্বর, ২০২৩ দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

[৮] এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১০টি মামলার মধ্যে ৬টিতে জামিন পেলেন।